প্রাতিষ্ঠানিক জীবন ও ক্রিয়াকৈবল্য: ইলিয়াস খান
প্রথম বাক্যটাই মিনতি দিয়ে আরম্ভ করলে সফেদ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবন আসবে। কিন্তু দিনলিপি জলছবির দর্পণ যাইহোক শেষতক। শিখতে শিখতে মিথ্যা-গুমখুন সৃজনে অপরূপ গৃহ নির্মাণ হচ্ছে। মোকা বুঝে গলা ছেড়ে গেয়ে নেওয়া যায় প্রাতিষ্ঠানিক জীবন-বিনির্মাণ শোভাযাত্রার হালহকিকত।
ভাসতে ভাসতে কুড়িয়ে পাওয়া অসহ বন্দিত্ব,অথচ দিনশেষের ক্লীবতা ভেঙে ওই বন্দিত্বই চতুর দাহ্য সমন্বয়। শুধু ধোঁয়া -ওঠা সরোবর শীতের বিকেলের রুদ্ধ কপাট সরিয়ে শ্রীহীন ঢেউ।
আলো দাও, সৌন্দর্যের যা কিছু শষ্যপ্রপাত!
শিশিরযাপন কালে ঘোর ঘটনাপরম্পরা গতির স্বার্থে মানুষ কেনাবেচা; পণ্য, শিশিরযাপন, অসম মন; স্বভূমি বলে যাকে ভাবছ সূর্যাস্তের আকাশ বিহার শুধু। ওইটুকুই শ্রান্তির মার্জিত পট। আধারের মতো, সময়ের মতো একই গ্রামনিবাস।
কূটাভাষ আপাত সরল মানুষদের রোজনামচা। প্রাত্যহিক দীন অশ্রুপতন মধ্যবর্গের গরিমাবিহীন ক্লান্তি। পথ চলার বিরতি শত শত সদ্য-সজাগ মৌন আশার ইশারা। ক্রমাগত ঠকতে ঠকতে তুমি স্পষ্ট পেছনে দেখতে পাচ্ছ পঞ্চায়েত এলাকা-তথাকথিত স্বাক্ষরহীন কৃষিজমি, আল, পগার ও লোভ; উপর্যুপরি তোমার অন্দরে বাসা বাঁধছে আলোপরমাণুর জীবাণুরা। তোমাকে অস্থিরতায় দিগন্তের এ-প্রান্ত হতে অন্যপ্রান্ত প্রকৃতির নিবিড় আত্মীয়তা চালনা করছে। তুমি তখন নিমিত্ত মাত্র-ঘটনাশৃঙ্খলার, জীবন ও বেঁচে থাকার;এই সংগ্রাম সর্বোচ্চ সিদ্ধির পূর্ববর্তী ঝোঁক।
স্বাভাবিক এবং মতিস্থির পাণ্ডুলিপি নামান্তরে যেকোনো মানুষের দূরদৃষ্টি পর্যালোচনা। এই পাণ্ডুলিপি সৃজন পবিত্রতম আখর ।এর প্রতিটি শাখায় ফুলের সুগন্ধ। মৃগকস্তুরির সুঘ্রাণ শরীরের প্রতিটি রোমকূপ লিখছে মৃগনয়না কিশোরীর নূপুর-ঝমঝম আনন্দগাথা ।
দুঃখ বিষাদ যন্ত্রণা ও অন্যান্য যা কিছু জীবনের পক্ষে আপতিক বিপর্যয় প্রাতিষ্ঠানিক জীবন-বিনির্মাণের আরোপিত ছদ্ম বেশ।
No comments:
Post a Comment