চিত্র: পাওয়েল চেরয়েনসকি
"উটকো কতজন তার্কিক, বেহায়া, লুম্পেন, তথাগত রেলিং ধরে গল্প করেই যাচ্ছিল আমার বাড়ির লাগোয়া, সিং ধরে ধরে কাব্যি করে উৎপাত আখাম্বা ধোনটা যে অসম্ভব রেগুলার প্রাণবায়ু পেয়ে মাথা তুলল, তা খেয়াল করেছিলাম রুনুঝুনু শব্দে বেগম বের হয়ে যাওয়ার সময়; আমার আর বেগম এর বিয়ে হয়েছিল, তবে সেদিন ডিভোর্স ফাইনাল, তাই আর কি—
আমি চারমিনারকে ইলেকট্রিক জিশাসের দুই অধ্যায় পেশ করেছি, অধ্যায় এখানে দুজন মানুষ X, Y ওরাই রক্তের, কুয়াশার হিজিবিজি রুমাল আর তারপর ওরাই বেগমের ছবি, কেউ বা ওর মধ্যেকার রহস্য, ওর মধ্যেকার ড্যাশবোর্ড সব হাতিয়ে চলেছে, চলতেছে, থামে না শালারা RAF নেমেছে, যৌথবাহিনী অরণ্যদমন শাখার উমেদার ওই দ্যাখো, তাও থামে না—
উমেদার: তোরা এখানে কি করছিস রে বোকাচোদা, উপরমহল থেকে খবর আছে, ধরে নিয়ে হাম্পু দেবো, মুখোশ পর তার্কিক: আপনি আমাদের ভূমিকাকে ছোট করছেন, আমরা নবাব পরিবারের খাস আদমি, বেগমকে বিয়ে করব বলে এসেছি লুম্পেন: আমরা ওর সাথে সেক্স করব, আমরা ভালোমানুষ, মুখোশ কি আবার? তথাগত: শান্ত, শান্ত সবাই শান্ত হোউন, আমরা চলেই যাব, তবে আপনাদের সাথে থাকতে চাই, আমরা ইন্দ্রিয় আপনার বাকি উমেদার: উফফ্, তোরা শালা হারামি, যাবি না তো দৌড় করালি কেন? তার্কিক: দৌড় মানে, কি বলছেন, দৌড় কৌনসা, যৌনতায় সীমাবদ্ধ তো দেখা লুম্পেন: হ্যাঁ, দিল মাঙ্গে, দিল মাঙ্গে মোর বেহায়া: [বিপ বিপ বিপ ] উমেদার: কথা কি আটকে গ্যাছে, কি বলতে চাচ্ছিস তোরা, আমি তোদের সঙ্গ দেব, শালা উপরমহল থেকে খবর আছে….. তথাগত: দয়া করুন, আসুন আমাদের সাথেই বেহায়া: [হ্যাশট্যাগড] উমেদার: তবে আমরাই কি পাঁচজন, বাহিনী তবে চলেই যাক, দেখে নিচ্ছি আমরাই, উপরমহলকে গল্প শুনিয়ে দেব তথাগত: আমরা যেভাবে দৃশ্য গড়ে তুলব, তার পারমিশন নিলেই চলবে তার্কিক: ওসোব পারমিশন পার্টিরা দ্যায়নি, দিলে নেবোউ না, এখন সবাই কেজো, লাখ টাকার বদলে ছিনতাই করে হাওয়া হতে চাই না লুম্পেন: সব বাড়াবাড়ি, পোঁদে ঢুকিয়ে বুকিং করব, ব্যক্তিগত, প্রাইভেট… উমেদার: থাম থাম তোরা, যা দেখিস তাতেই, ডিভোর্স হয়েছে, করিয়েছি, ধর্মের ফাঁকি দেওয়া মাগিকে আগে অগ্নিপরীক্ষা বেহায়া: [কাশি] তথাগত: না, আগে যোনিগর্ভের প্রতিস্তাপন হোউক, শ্রান্ত চাবুকের রসাসীক্ত না হলে কি আর…. বেহায়া: [চেটে চলেছে] তার্কিক: ব্যথা করতে পারে, আমরা সঠিক পথ বাছব, বাছবিচার না করে ধার্মিক করতে পারব না লুম্পেন: এঁকেছেন আবার সরস্বতী, সেক্যুলার ঢ্যামনামি যত উমেদার: আমি উপরমহলের, তোমরা নবাবের….বেগম বানিয়ে দুধ চুষে এখন আবার সাধুসাজা, বোতল ঢোকাবো তথাগত: স্যালভেশন টু দ্য আল্টিমেট ওমনিপ্রেসেন্স
ইলেকট্রিক জিশাসের প্রত্যাবর্তন, সাথে ওরা দুই অধ্যায় মিলেমিশে জটিল সমীকরণের কেবাব সাধন করছে (X+Y+XY)=(X+Y+XX)
সমস্ত গ্যালারির মৌরসি পাট্টা ফিকে করে বেগমের ছবি টাঙানো, প্রাণহীন, ল্যাভিশলি, প্যারাডক্সিকাল- ফাইভ ম্যাসকুলিন ননডিসকাবেল চিৎকারের পাওয়ার ও শক্তি দমিয়ে দিয়েছে বিলকুল, নাকচ করতে চেয়েও পাওয়া যায়নি বিগত ১০০০ বছরের, ৫০০০ বছরের, ১০০০০ বছরের পুরুষালি ইতিহাস, ধর্মের, স্বীকারোক্তির, মানুষের জল জমেছে, জমছে, জমবে….আমি আরো একটা ছবি দিয়ে যাব ভেবে রেখেছি এই গ্যালারিতে, আমি মৃত্যুর আগের ইতিহাস লিখে যাব, কোডিং কারিশমায়, মৃত্যু নেশা বনে গ্যাছে, লাইফ সাপোর্টগুলোও বেসামাল, তোয়াক্কাহীন জাজিম।"
এই এতদূর পর্যন্ত গৃহীত বা অগৃহীত নথি অপরসীম শীতপ্রধান বিপন্নতায় ভরিয়ে দিয়ে গেছে সব অভিযোগ। কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না চূড়ান্ত বাকস্বাধীনতাতেও, ডেমোক্রেসি পারসিভড যাদুতে আজ ১০০ বছর পর সব বদলে গিয়েছে, ছেঁড়াফাটা ক্যানভাসের ভাঁজে ভাঁজে রক্তাল্পতা, ছবিরা উল্টো বা সোজা ধরালেও আনফোর্সড এরর… কেউ কোত্থাও নেই, ওরা কেউ নয়, আমি আর কোথাও নেই, সব মৌসুমীর মত, আসে হাওয়া হয়ে, চলেও যায় একা, অসম্পূর্ণ।।
No comments:
Post a Comment