দাজ ডেথ স্পিকস। অমৃতের সন্তান, তার আবার পাপ! কিন্তু এই যে ব্লাড গ্রুপ ও-নেগেটিভ, এবার কী হবে? সব নেতিবাচক চিন্তার উৎসকে ক্রোমোজোমের ডগায় গাজরের মতো ঝুলিয়ে নামকে গাধা বানিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছো। বাট হাউ ফার? মননে নৈঃশব্দ্যের অসংখ্য মলিক্যুল ঘোরাফেরা করছে। একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দেঁতো হাসির বিনিময়ে দু-দণ্ড দাঁড়িয়ে সুজাতার হাতের পায়েসের কথা বলছে। অন্যদিকে র্যাট রেসের দৌড়ে ফুসফুসের অ্যালভিওলাই চুপসে কিশমিশ। হাঁপ ধরলে মাথা কাজ বন্ধ করে দেয়। তখন ডাবের জলে সোডিয়াম আর পটাশিয়াম খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় মানিব্যাগে ঈশ্বর একা, যার সশরীরে দেখা তো মেলে না, উলটে তার পাথরের মূর্তি দেখতে গিয়ে ভি.আই.পি লাইনে দাঁড়িয়ে সঞ্চিত ব্যালান্স শেষ হয়। এভাবে চলতে পারে না! সরষের মধ্যে ভূতকে আরামে থাকতে বলে, সেই সরষেজাত তেল নাকে দিয়ে আরামে ঘুমাতে বলার পরামর্শ দ্বিচারিতা। এর বিচার কোথায়? তার নামে পাওয়া স্কোর শিট, প্রহসন। ওটাকেই ক্যাপিটাল ধরলে ভাতের থালায় নুন থাকে তো লঙ্কা থাকে না, লঙ্কা থাকে তো পেঁয়াজ থাকে না, দেশলাই থাকে তো বারুদ থাকে না, বারুদ থাকে তো স্টোভে কেরোসিন থাকে না। সব মিলিয়ে একটা বিশাল না। হবেই তো! এই না-টাই তো একলব্যের বুড়ো আঙুল যাকে ঘিরে এক অন্ধকার শূন্যের বিরাজ অগুরুর গন্ধে ম-ম করছে।
দাজ ডেথ স্পিকস। এই ২০৬ নং খাঁচা কারোর নয়! গলার উপর কালোজিরে, পাকা কলা আর আতপ চালের পিণ্ড ঠেকালে আত্মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পাঁজরের রিডে হাত বোলায়। দ্যা লাস্ট সঙ্! মে বি জিঙ্গল বেল! থিতিয়ে থাকা খইয়ের শুভ্রতা আনন্দে নাচতে থাকে এমন ভাবে যেন ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল এপার থেকে ওপার যাওয়ার ছাড়পত্র। এরপর একটা গাঁদা ফুলের মালা গলায় নিয়ে তোলা ফটো ফি বছর স্মৃতিকে একটু উসকে দেওয়ার জন্য দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়। বলা ভালো ওই ফটোর থেকে হাওয়ায় দোলা সংখ্যাবাচক ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অনেক বেশি। তার নিচে থাকা টেবিলের উপরে থাকা কমিকস বইটি নিয়ে পরীক্ষায় রচনা আসে। তাহলে এপারে কী পেলে? হাতের কর গুনছো, মনে রেখো প্রতি ঘরের নামতার শেষ ঘরে একটা শূন্য কিন্তু হাঁ করে গিলবার জন্য বসে থাকে যার আদুরে ডাকনাম ব্ল্যাকহোল।
দাজ ডেথ স্পিকস। ঘুঘুর ডাক দুপুরকে সেলাই করছে। জোনাকির আলো রাতকে সেলাই করছে। শিশির সেলাই করছে ভোরকে। এদের সমষ্টিগত সেলাইয়ের চেয়ে বেশি স্টিচ পড়ে থাকে কপালে। চার আঙুলের মধ্যে প্রথামাফিক চাহিদাগুলো অদৃশ্য অবস্থায় লেখা থাকে। অদৃশ্য বলেই তো সুবিধা। কখন কোনটা গিলি গিলি গে, হোকাস পোকাসের মধ্যে দিয়ে সামনে হাজির হবে বুঝতে পারবে না, বাদ দিতে পারবে না আবার অস্বীকারও করতে পারবে না। এই ধরণের রকম-সকম দেখে ছায়া হাসতে-হাসতে বলবে - হোয়াট আ জোক! কে ছায়া? পাশের বাড়ির ফুরফুরে অষ্টাদশী! সে গুড়ে বালি! শুধু স্বপ্ন চোখের বালি হয়ে কড়কড় করবে, মন ভাববে নিরাময়ের আর এক নাম ষড়যন্ত্র।
দাজ ডেথ স্পিকস। ওড়না দেখলে আঁচল ভাবো। ঘুলঘুলি দেখলে প্রশ্রয় ভাবো। জানালা দেখলে প্রেম আর খোলা দরজা দেখলে সুযোগ। এপারের এই সব নৈমিত্তিক ধারণায় ড্রপ আউট আর পাশ আউট এক হয়ে যায়। দু-জনেই খোঁজে একটি ভরসার হাত। একটি অনিন্দ্যসুন্দর অনামিকা যার আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে নিদেনপক্ষে কোনো শহরতলির পোড়োবাড়ির কার্নিসে পাখির বিষ্ঠাজাত লালচে অশ্বত্থের চারাগাছ হবে। কখনও স্বপ্নে চেয়েছো হয়ত লাভ সাইন দিয়ে সাজানো একটি ফেয়ারি টেলের গ্রিটিংস কার্ড। কিন্তু দ্বিঘাত সমীকরণ শেষে পড়ে থাকে ভগ্নাংশ যেখানে কেউ দুরন্ত লাফ দিয়ে লব, কেউ চরম ভাবে আছাড় খেয়ে হর। শুধু মাঝের ড্যাসের মতো ছোটো আঁচড়, দুটি পাড়ের নির্দেশনামা। দুটি অনন্ত যাত্রাপথ, দুটি ভিন্ন মেরুর দিকে। তাই কি পৃথিবী গোল? বৃত্ত একটি আশা, যদি ম্যাচ উইনিং পয়েন্টটা, হোপ বল হয়!
দাজ ডেথ স্পিকস। "মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ" ...ঘুম! আরে পাগলা সে ঘুম নয়, যে বীর্যের ক্লান্তি যোনিতে জল ভর্তি ঘটের মতো উপুড় করে ছয় বাই পাঁচের ময়ূরপঙ্খি খাটে দু-ঊরুর মাঝে পাশবালিশ ঢুকিয়ে চিদানন্দ হয়ে থাকবে। জীবনটা এত ফ্যান্টাসি নয়! বিভিন্ন ক্রিয়াপদের ঝকমারি সামলাতে গিয়ে অণ্ডকোষের প্রতিবিম্ব আয়নায় কিশমিশ হয়ে দেখা দেবে। তবে? যে পথ হাঁটার কথা বলছি, সেই পথ কোনো মেয়েতে নেই, নেই কোনো কবিতায়। স্বপ্নে নেই, নেই জাগরণে। আছে কাকের চেষ্টায়, বিড়ালের উঁকিঝুঁকি চোখে আর বকের এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার ধৈর্যে। কিন্তু তার আগে সরিয়ে ফেলতে হবে সন্দেহের লিপস্টিক। মুছে ফেলতে হবে সংশয়ের ফেস পাউডার। আত্মভোলা হয়ে হাঁটতে হবে ট্রাম লাইনের উপর দিয়ে। কোনো শব্দ শোনা যাবে না। শুধুমাত্র বুকের ধক ধক নিয়ে টিনের ট্রেতে পাতলা জলে খাবি খাওয়া মাছের মতো উতলা হয়ে থাকতে হবে। "যত মত, তত পথ"-কে আদর করে "যত গুষ্টি, তত ষষ্ঠী"-পুজোর নেপোটিজম চালু করলে "শেষ রাতের ট্রেন" পেলেও পেতে পারো। এই যে অসংখ্য মানুষ, তাদের ব্যবধানে জাগে অসংখ্য ঢেউ। সব ঢেউয়ে কিছু-না-কিছু ভেসে আসে, জমা হয় রাশি-রাশি মুক্তো-মাণিক্য। কিন্তু কেউ দেখতে পায় না। চোখে মায়ার ঠুলি পরে সোজা হাঁটলে কে আগ বাড়িয়ে বলবে - "আ বেগার হ্যাজ নাথিং টু লস!" বাদুড় হতে হবে। ঝুলে থাকতে হবে নিজের শিরদাঁড়া ধরে, আবার খেয়াল রাখতে হবে তা বেঁকে না যায়। মাথায় রক্ত আসুক, আসুক প্লাজমার অভিঘাত। তবেই না বোঝা যাবে যা চাইছো, তা কতটা যুক্তিপূর্ণ। দেখবে আসল অঙ্কটা খাতার মার্জিনে করে রেখেছো আর মূল জায়গায় ভুল, যা দেখে তুমি নিশ্চিত থাকলেও শিক্ষকের হার্টবিট বেড়ে চলে অথচ তার কিছু করার থাকে না। নিজেকে লিটল বয় কিম্বা ফ্যাট ম্যান ভাবতে পারো, ভাবতে পারো একটি দুর্দান্ত চেরনোবিল কিম্বা পোখরান, কিন্তু পিছনে সেই নির্দেশ -গো ...গো এলসহোয়ার অ্যান্ড থ্রো ইওর ডার্টি ব্লাড দেয়ার। বাট নট ইনসাইড আওয়ার বর্ডার ...নট, যাকে উপেক্ষা করার সাহস তোমার নেই। টবের গাছের পাতা ছোটো-ছোটো করে কেটে শকুন কিম্বা উট পাখির বড়ো গলার প্রশংসা করবে, তা কতটা যথাযথ, ভেবেছো। আসলে এই যে নির্জনে দাঁড়িয়ে ভাবছো, কোন রূপে তাকে পাবে, সেটাই শ্রেষ্ঠ। পুরস্কার স্বরূপ স্বীকৃতির মঞ্চ, যেখানে "ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত!"
No comments:
Post a Comment