ইবলিশ ষষ্ঠ সংখ্যার অলংকরণ: বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা-কাজ

 

ইবলিশ ষষ্ঠ সংখ্যার অলংকরণ: বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা/কবিতাংশ/পঙক্তি




 

ইবলিশ চতুর্থ সংখ্যায় তরুণ কবি-শিল্পী বিনায়ক দত্তের আঁকাকে আমরা সারা পত্রিকা জুড়ে অলংকরণে ব্যবহার করেছিলাম। বিগত পঞ্চম সংখ্যা তথা বইমেলা সংখ্যা ২০২০ তে ছিল বের্টল্ট ব্রেখটের কিছু কাজকে অলংকরণ হিসাবে ব্যবহার। তেমনি এ ইবলিশ ষষ্ঠ সংখ্যায় (ভাবনাসুতো/ভাবনাসূত্র: মরণের এপারে) শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসাবে কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (সেপ্টেম্বর ২, ১৯২০ - জুলাই ১১, ১৯৮৫) কবিতা-কাজ থাকলো অলংকরণ হিসাবে যা পত্রিকাটির পিডিএফ ফর্ম্যাটটিতে বা ছাপানো সংখ্যায় (যদি করা যায়) আস্বাদন করার মজাই আলাদা। আমরা এখানে কেবল তাঁর যে যে কবিতা/কবিতাংশ/পঙক্তি সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে তা সরাসরি উল্লেখ করছি। সব লেখাংশ/লেখাই ‘বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নির্বাচিত কবিতা’ থেকে উল্লেখিত।

 

১.

‘ঘর কোথায়?’

‘গ্রাম কোথায়?’

‘দেশ কোথায়?’

 

ওরা শুধুই দেখিয়ে দেয় লঙ্গরখানা!

 

২.
চলো হে, লড়াইয়ের দিকে যাই—

 

৩.

‘রুটি দাও, রুটি দাও, রুটি দাও’—আকণ্ঠ চিৎকারে

তবে ফিরে চলো মন দুর্ভিক্ষের মিছিলে, বন্দরে

 

৪.

কেন আলো সব আলো মুছে মুছে যায়

কালোর থাবায়?

 

৫.

মাটি তো আগুনের মতো হবেই

যদি তুমি ফসল ফলাতে না জানো

 

৬.

মুণ্ডহীন ধড়গুলি আহ্লাদে চিৎকার করে

 

৭.

ঘরগুলি ভাঙতে ভাঙতে

মানুষগুলি ভাঙতে ভাঙতে

চারদিকে এখন শুধু ভাঙনের শব্দ

কি জাগরণে কি আমাদের ঘুমের ভিতর

 

৮.

আসলে ক্রুশবিদ্ধ হওয়া নয়

ক্রুশটাকেই ভেঙে ফেলা দরকার

সর্বহারার শৃঙ্খল ছাড়া আর কিছুই হারাবার নেই

 

৯.

রাজা আসে যায়      রাজা বদলায়

নীল জামা গায়        লাল জামা গায়

এই রাজা আসে       ওই রাজা যায়

জামা কাপড়ের        রং বদলায়        

                    দিন বদলায় না!

 

১০.

রাস্তা কারও একার নয়

 

১১.

সে জাগবে। জাগবেই। আমি তাকে কোলে নিয়ে

ব’সে আছি রক্ত পুঁজে মাখামাখি রাত্রি

 

১২.

আমার ঈশ্বর নেই


সংকলনে- রাহেবুল 

No comments:

ফেসবুক কমেন্ট

অধিক পঠিত লেখাগুলি