রাষ্ট্র রাষ্ট্র করে আর কত দীর্ঘ শ্বাস তুলে আনবআমিও তো মাঝরাতে ঘুমোতে যাইঘুম না হলে বারবার উঠিজল খাইবাথরুমে যাইহাঁটি, শুধু হাঁটিআমারও তো চিন্তা হয়রক্তচাপ ওঠানামা করেবয়সের সাথে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেইওজন উচ্চতা বা লিঙ্গের সাথেওতাই এসব প্রেসক্রিপশনের ওপরলাইন দিয়ে লিখে নেন ডাক্তারতিনি কখনও বলে ওঠেন, কেমন আছেনসবটা বলতে শুরু করলে মাঝপথে থামিয়ে দেনএখন জেনে গেছি,রাষ্ট্র বিষয়ক কোন অসুবিধের উপশমডাক্তার দিতে পারবে নাতবে কার কাছে যাব?ভোরে ঘুম ভেঙে গেলে বাথরুম থেকে বারান্দাসিলিং-এর দিকে তাকাই, কার্ণিশের দিকেসকালের ঘাসে খালি পায়ে হেঁটে আসি বাঁধ বরাবরতবু নদীর দিকে ফিরেও তাকাই নানদী আরও বেশি প্রশ্ন নিয়ে বসে আছেআগে জমাট কষ্ট সব বমি হয়ে উঠে আসতনদীতীরে বোল্ডার, তারজালির মাঝে ভরে দিতামএখন উল্টো ছবি দেখিকাছে গেলেই নদী থেকে উঠে আসে প্রশ্নস্থির!আর স্থির থাকতে পারি নাএলোমেলো উঠে আসিমনে হয়, এত যে উত্তরস্পর্শ পেলাম না, গেঁথেও দিলাম নাএদের কী হবে?আদৌ কি কিছু হবে?কিন্তু শূন্য একটা বাসনভুল শস্য দিয়ে পূর্ণ হতে দেওয়া যায় নাকে সব বলেছিল আগে, ভুল বলে কিছু নেইতবে কিপ্রশ্নগুলো সব, বিপক্ষ যুক্তিগুলো সব অন্ধকার?পক্ষ বা বিপক্ষ গুলিয়ে দিয়ে যায়পক্ষ বা পথের সংখ্যা বহু থেকে বহুতবু গলার কাছে কাঁটা বিঁধে আছেনা জানা অঙ্ক নিয়ে খুব একটা আগ্রহ নেইঅসম্পূর্ণ অঙ্কটি সম্পূর্ণ করে দিন, প্লিজআমি পারছি নাআর পারছি নাএবারে কার কাছে যাব?যারা জানেন,তারা উত্তর থেকে পিছিয়ে আসতে আসতেশুরুর বিন্দু আঁকেন, শুরুর গন্ধ শুঁকে শুঁকেএতদূর উল্টো পথে আসাব্যাক ক্যাল্কুলেশন একটা গেমপ্ল্যানসব, সমস্ত ঘাটে নৌকোর গুড়ি এসে ধাক্কা কি খায়?একটা সমীকরণের চারপাশে মেঘ করে আসেআমি কুয়াশা জড়ানো এক গাধাভার বয়ে যাইকুয়াশায় হারিয়ে যাই অনির্দিষ্টকালযখন অনুভব করি ব্যর্থতা,চিৎ হয়ে থাকি ভরা দুপুরেঘুম নিয়ে এখন আর মাথাব্যথা নেইদেহ নিয়েওকিন্তু জন্ম?জন্ম হয়েছে কেন এই অবাধ্য নগরে?কেন এত জোব্বার আঁকড়ে রাখা, চামড়া বদল...জানি নাএগুলো জানতেই তো জন্ম, মৃত্যুর মাঝেসামান্য বিরতিআমাকে জানতেই হবেনিরুপায় হয়ে আজকাল হিজিবিজি লিখিউত্তর, শুকনো কুয়োর ভেতর অনেকটা জলের মতোউঠে না এলেফাঁকা থাকফাঁকা থাকআর ভিড় বাড়াচ্ছি না অক্ষরেরসময়ের কাছে উত্তর থাকলে আগামী লিখে দেবেকেউ তো জানবেতাহলে এইসব প্রশ্ন আজ অমূলক?মানতে পারছি নাটার্গেট করছি নিজেকে, বারবারএবারে শেষ বুলেটআমি রাষ্ট্রের মুখোমুখি বসতে চাইমুক্তি আর স্বাধীনতার সংজ্ঞা লিখতে চাইগোপন চিরকুটেশেষবারের মতো বলতে চাই,গলা উঁচিয়ে বলতে চাই,জন্ম মৃত্যুর দায় থেকে আপনি হাত গোটাতে পারেন নাকেননা রাষ্ট্র, আপনিই প্রভাবিত করেনআমার প্রতিটি শ্বাসকে
রাহেবুল কর্তৃক সম্পাদিত উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার একটি প্রান্তীয় গ্রাম দেওগাঁও থেকে প্রকাশিত একটি কবিতাকেন্দ্রিক লিটল ম্যাগাজিন 'ইবলিশ', যা আবহমান তথা বিকল্পধারার সুলুকসন্ধানে রত, কাঠবাস্তবকেও উপেক্ষা করে না কদাচ। পত্রিকায় সবসময়ই লেখা পাঠানো যায়, তবে তার আগে পুরনো পুরো সংখ্যা একবার পড়ে নিলে ভালো। লেখা পাঠানোর মাধ্যম: editoriblish.rahebul@gmail.com
নীলাদ্রি দেবের কবিতা: মাঝরাতের ইতর সংলাপ
Subscribe to:
Posts (Atom)
ফেসবুক কমেন্ট
অধিক পঠিত লেখাগুলি
-
প্রচ্ছদ: রাহেবুল সম্পাদক কয় ইবলিশ ২০১১ খ্রিস্ট অব্দ থেকে অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এখনও অব্দি তার সব সংখ্যাই ছিল প্রিন্টেড/ছাপানো।...
3 comments:
শুধুই কবিতা নয়, এক সংবেদনশীল হৃদয়ের গভীর আত্মকথন..
শুধুই কবিতা নয়, এক সংবেদনশীল হৃদয়ের গভীর আত্মকথন..
এ সংখ্যার অন্যতম ভালো কবিতা...
Post a Comment